ঢাকা।। গাজীপুরের শ্রীপুরে পরকীয়া সন্দেহে স্বামীর বিশেষ অঙ্গ কেটে হাতে নিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন এক স্ত্রী। পরে পুলিশ আহত স্বামীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে।
সোমবার (২ মে) ঈদের আগেরদিন দিবাগত রাত আড়াইটায় শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া গ্রামের আমান উল্লাহর ভাড়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
শ্রীপুর থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফুরকান খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আহত শরীফ উদ্দিন (৪০) কাপাসিয়া উপজেলার সোহাগপুর গ্রামের আলা উদ্দিনের ছেলে। স্ত্রী হনুফা বেগম (৩৫) শ্রীপুর উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নের গাজিয়ারন গ্রামের বাসিন্দা।
৫ মাস আগে ভালোবেসে একে অপরকে বিয়ে করেন তারা। স্বামী-স্ত্রীর উভয়েরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে। শরীফের আগের ঘরে ছয় বছরের একটি মেয়ে এবং হনুফার ঘরে দুটি ছেলে রয়েছে। হনুফার বড় ছেলে নবম শ্রেণিতে পড়ে।
বাড়ির মালিক আমান উল্লাহ জানান, ৫ মাস আগে স্বামী-স্ত্রী তার বাড়িতে ভাড়ায় উঠেন। তারা আনসার রোড এলাকার প্রবৃদ্ধি অ্যাপারেলস পোশাক কারখানায় অপারেটর পদে চাকরি করেন। সোমবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে শরীফ বাইরে থেকে বাসায় এলে হনুফা তাকে দুধ খেতে দেয়। এক চুমুক দুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে শরীফ।
পরে স্ত্রী মধ্যরাতে তার পুরুষাঙ্গ কেটে দরজা বাইরে থেকে তালা দিয়ে কাটা বিশেষ অঙ্গ হাতে নিয়ে থানায় উপস্থিত হন। থানা থেকে পুলিশ গিয়ে শরীফ উদ্দিনকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
হনুফা বলেন, ৫ মাস আগে শরীফকে ভালোবেসে বিয়ে করি। আমার আগের সংসারে স্বামী ও দুই ছেলে সন্তান রেখে তাকে বিয়ে করেছি। সে এখন অন্য মেয়ের সঙ্গে পরকীয়া করে। এ নিয়ে তাদের সংসারে কয়েকদিন ধরে কলহ চলে আসছিল।